শহীদুল জহির স্মরণ

শহীদুল জহির (pic source: Littlemag Bindu)

শহীদুল জহির (১১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩ - ২৩ মার্চ ২০০৮) ছিলেন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, গল্পকার এবং সরকারি আমলা। আধুনিক বাংলা সাহিত্যে জাদুবাস্তবতার স্বাতন্ত্র্য চর্চার জন্য তিনি পরিচিত। নিত্যনতুন ভাষাবিন্যাস এবং রীতি-ব্যবহারে গল্প বলার কৌশলের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে তিনি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছেন। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি যোগ করেছেন স্বতন্ত্র রীতি পদ্ধতি, যা "শহীদুল জহিরীয়" ধারা নামে পরিচিত।


তিনি চারটি উপন্যাস এবং তিনটি গল্প সংকলন প্রকাশ করেছেন। আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু (২০০৯) তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের একটি, যেটি ২০১০ সালে প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪১৫ পুরস্কার জেতে। এছাড়াও জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা (১৯৮৮), সে রাতে পূর্ণিমা ছিল (১৯৯৫) এবং মুখের দিকে দেখি (২০০৬) উপন্যাসগুলো বাংলা সাহিত্যে অনন্য সংযোজন বলে বিবেচিত হয়। বাংলা ছোটগল্পে তিনি যুক্ত করেছেন নতুন মাত্রা। পারাপার (১৯৮৫), ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প (২০০০), এবং ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প (২০০৪) তার উল্লেখযোগ্য গল্প সংকলন। তার রচিত গল্পসমূহ ব্যাপকভাবে আলোচিত এবং বিশ্লেষিত হয়েছে। "ভালবাসা" (১৯৭৪), "পারাপার" (১৯৭৫), "আগারগাঁও কলোনিতে নয়নতারা ফুল কেন নেই" (১৯৯১), "কাঠুরে ও দাঁড়কাক" (১৯৯২), "কাঁটা" (১৯৯৫), "চতুর্থ মাত্রা" (১৯৯৮), "কোথায় পাব তারে" (১৯৯৯), "ডলু নদীর হাওয়া" (২০০৩) প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য গল্প।

জীবদ্দশায় সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০০৪ সালে তিনি আলাওল সাহিত্য পুরস্কার এবং কাগজ সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। তার সাহিত্যচর্চার বিষয় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। তার রচিত গল্প ও উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে একাধিক চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং মঞ্চনাটক।

ছাত্র জীবনে এই লেখক ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত ছিলেন৷

Post a Comment

0 Comments