৪র্থ কলকাতা জনতার সাহিত্য উৎসব

peoples magazine report

চার বছরে পা দিচ্ছে চতুর্থ কলকাতা জনতার সাহিত্য উৎসব। মধ্যবিত্ত বিনোদন-সাহিত্যের মূল স্রোতের বাইরে দাঁড়িয়ে যারা নিরন্তরভাবে সৃজনে তুলে আনছেন সমাজের নীচের তলার মানুষের জীবনযন্ত্রণা ও লড়াইয়ের কথা, মূলত তাদের নিয়েই আয়োজিত হয় এই সাহিত্য উৎসব। এর আগে ভারাভারা রাও, অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গঞ্জালভেসের মতো লেখক, শিল্পীরা এই উৎসবে এসেছেন। তারপর ব্রাহ্মণ্যবাদী, ফ্যাসিবাদী শাসকদের রোষানলে পড়ে বন্দি হয়েছেন। এ বছর এই উৎসবে থাকছেন সদ্য মুক্ত হওয়া হরিয়ানার দলিত রাজনৈতিক কর্মী নওদীপ কৌর।

গত তিন বছর এই উৎসব চলেছে দুই দিন ধরে। এবার একদিন। শ্যামবাজারের শ্যামপুকুর অঞ্চলের বীরেন্দ্র মঞ্চে আগামী ২০ মার্চ, শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ৮টা আয়োজিত হবে এই উৎসব। কিন্তু কেন মাত্র একদিন? উদ্যোক্তাদের তরফে সৌরভ ব্যানার্জি জানালেন, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে ব্যাপক আর্থিক সমস্যার জন্য এবারের মতো উৎসবের দিন কমানো হয়েছে। কলকাতা বইমেলা না হওয়ায় এবার প্রচারের সুযোগও কম মিলেছে।

চেহারা, বৈভবে কিছুটা ছোটো হয়ে গেলেও বিষয়বস্তুর দিক থেকে কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী এবারের উৎসবও। থাকছে তিনটি প্যানেল। কারা-সাহিত্য, কৃষক আন্দোলনের সাহিত্য ও ফ্যাসিবিরোধী সাহিত্য বিষয়ে। কারা সাহিত্য নিয়ে বলবেন দীর্ঘদিনের গণ আন্দোলন কর্মী কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝাড়ঘণ্ডের প্রগতিশীল সাংবাদিক, জামিনে মুক্ত রূপেশ কুমার সিং ও সাংবাদিক-প্রাবন্ধিক নীলাঞ্জন দত্ত।

সাহিত্যে কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করবেন ওড়িশার কবি লেনিন কুমার, লেখক সুপ্রিয় চৌধুরী ও লুতফর রহমান। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সাহিত্য প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন লেখক সাদিক হোসেন, কবি অভিষেক ঝা এবং হরিয়ানা দলিত রাজনৈতিক কর্মী, সদ্য জামিনে মুক্ত নওদীপ কৌর। নওদীপ দিল্লির কৃষক আন্দোলনেও সক্রিয়।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী শিল্পের বিশেষ প্রেজেন্টেশন দেবেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রগ্রাহক রনি সেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন দিল্লির কৃষক আন্দোলন ময়দান থেকে আসা পঞ্জাব-হরিয়ানার তিন তরুণ-তরুণী, নিক্কি, অর্পণ ও অঙ্কিত।


Post a Comment

0 Comments