কবি শোয়েব শাদাবের ছবি |
আমি কি করতে যাচ্ছি, কেনো করতে যাচ্ছি? শোয়েব শাদাবের সাথে তো আমার ঐ অর্থে কোনো পরিচয় ছিল না, ১৯৯১-৯২ সালের দিকে ২/৩ দিনের সামান্য কথাবার্তা বলা ছাড়া? শাদাবের ঐ সময়ের কাছের বন্ধুরাই যদি না লিখে তবে সংখ্যা করার কোনো মানেই হয় না। কবি বদরুল হায়দার ছাড়া শাদাবের আর কোনো বন্ধুর লেখা এখনো পাইনি, আদৌ দিবেন কিনা জানি না। ৬/৭ মাস ধরে তাগাদা দিয়েই যাচ্ছি।
লোক-এর শোয়েব শাদাব সংখ্যা বের করবো না। যাঁদের লেখা পেয়েছি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবো এবং আগস্টের পর অন্যত্র ছাপতে বলবো।
সম্পূর্ণ স্ট্যাটাসটি পড়ুনঃ
‘লোক’-এর ঘো ষ ণা
শোয়েব শাদাব সংখ্যা হচ্ছে না
লিটল ম্যাগাজিন ‘লোক’-এর কবি শোয়েব শাদাব সংখ্যার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গতকাল মেইলে কবি মৃদুল দাশগুপ্তের লেখাটি পেলাম। তিনি তাঁর লেখায় কবি শোয়েব শাদাবকে খুব গুরুত্ব সহকারে তুলে এনেছেন। প্রাসঙ্গিক ভাবে শাদাবের ঐ সময়ের বন্ধু এবং কাছের লেখকদের কথাও এসেছে। লেখা মেইল করে রাতে মৃদুলদা ফোন করেছিলেন এবং জানতে চাইলেন, যে সমস্ত বন্ধুদের নাম তাঁর লেখায় উল্লেখ করেছেন কিংবা শাদাবের যারা খুব কাছের (বিশেষ ৪/৫ জনের নামও তিনি ফোনে উচ্চারণ করলেন) তারা লেখা দিয়েছে কিনা।
কিছু সময়ের জন্য আমি হতভম্ব হয়ে গেছিলাম। প্রায় আধা মিনিট চিন্তা করে একটি নামও বলতে পারলাম না। আমতা আমতা করে মৃদুলদাকে বললাম, প্রায় ৩০/৩২টা লেখা পেয়ে গেছি তোমারটাসহ, বন্ধুদের লেখা পাইপ-লাইনে আছে, কয়েকদিনের মধ্যে পেয়ে যাবো।
স্ট্যাটাসের স্কিনশট মৃদুলদার সাথে ফোনে কথা শেষ করে সত্যি সত্যি আমি বিচলিত হয়ে পড়লাম! এ আমি কি করতে যাচ্ছি, কেনো করতে যাচ্ছি? শোয়েব শাদাবের সাথে তো আমার ঐ অর্থে কোনো পরিচয় ছিল না, ১৯৯১-৯২ সালের দিকে ২/৩ দিনের সামান্য কথাবার্তা বলা ছাড়া? শাদাবের ঐ সময়ের কাছের বন্ধুরাই যদি না লিখে তবে সংখ্যা করার কোনো মানেই হয় না। কবি বদরুল হায়দার ছাড়া শাদাবের আর কোনো বন্ধুর লেখা এখনো পাইনি, আদৌ দিবেন কিনা জানি না। ৬/৭ মাস ধরে তাগাদা দিয়েই যাচ্ছি।
গভীর রাতে চিন্তা করলাম, লোক-এর শোয়েব শাদাব সংখ্যা বের করবো না। যাঁদের লেখা পেয়েছি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবো এবং আগস্টের পর অন্যত্র ছাপতে বলবো। বিশেষ করে যদি শাদাবের কাছের বন্ধুদের (১. শান্তনু চৌধুরী, ২. সাজ্জাদ শরিফ, ৩. আযাদ নোমান, ৪. পারভেজ হোসেন, ৫. শহিদুল আলম, ৬. সেলিম মোরশেদ, ৭. তপন বড়ুয়া, ৮. বাহার রহমান, ৯. সৈয়দ তারিক, ১০. সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, ১১. আহমাদ মাযহার, ১২. হাবিব ওয়াহিদ, ১৩. জাহিদুর রহিম অন্জন, ১৪. তুষার দাশ, ১৫. শামসুল কবির কচি, ১৬. ফরিদ কবির, ১৭. মাহবুব কবির, ১৮. আশিক আকবর) লেখা না পাই আগস্টের পর বিনীত ভাবে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া উপায় নাই।
আপনারা কি বলেন? ব্রাকেটে উল্লেখিত ১৮ আর আগের ৩২, এই ৫০টি লেখা নিয়েই সংখ্যাটি হওয়া উচিৎ কিনা?
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ (২০২১) কবি শোয়েব শাদাবকে ঢাকায় এনে কবির সাথে আড্ডার আয়োজন করেছিলো ‘লোক’৷ আড্ডার সংবাদটি পড়ুন এখানে ক্লিক করে৷
0 Comments
মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।