আলী সিদ্দিকীর সম্পাদনায় যাত্রা শুরু করলো কবিতা ও কথাসাহিত্যের ওয়েবম্যাগ ‘মন-মানচিত্র’

২০ জুলাই (২০২১) আলী সিদ্দিকীর সম্পাদনায় যাত্রা শুরু করলো কবিতা ও কথাসাহিত্যের অন্তর্জাল ‘মন-মানচিত্র’৷ অনেক লেখকের কবিতা ও গদ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করলো এ অনলাইন সাহিত্য পত্রিকাটি৷ সম্পাদকের নোটে এ আলী সিদ্দিকী লিখেছেন,

অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ সমাগত। মন-মানচিত্র আজ তার বিশ্বভ্রমণ শুরু করলো। অনেকে বলেন, এতো এতো ওয়েবম্যাগ থাকতে আরেকটি কেন? প্রতিদিন মানুষ জন্ম নিচ্ছে, মৃত্যুবরণও করছে। নতুন ব্যবসা যেমন খুলছে তেমনি বন্ধও হচ্ছে। অনেক কবিতা লেখা হচ্ছে, টিকছে নগণ্য, কিন্তু নতুন কবিতা জন্ম নিচ্ছে। এভাবেই চলছে মানবজীবন। কলকাতার কল্যাণীস্থ এক বন্ধু বললেন, করোনা জীবনধারা যেমন তছনছ করেছে তেমনি ভার্চুয়াল দরোজা খুলে দিয়ে মানুষকে কাছাকাছি এনে দিয়েছে এবং এই ভার্চুয়াল জগতটি নিজের প্রয়োজনেই টিকিয়ে রাখবে মানুষ। এটাই সত্য।

মন-মানচিত্র সুনির্দ্দিষ্টভাবে নিজের গতিপথ নির্ধারণ করেছে – কবিতা ও কথাসাহিত্যের অন্তর্জাল হিসেবে। কবিতা ও কথাসাহিত্যের সকল শাখার মাধ্যমে মন-মানচিত্র সৃষ্টিশীলতাকে পৃষ্ঠপোষকতা করে যাবে। এটাই মন-মানচিত্র’র স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।

কবি মাসুদ খানের কাব্যভাবনা, অন্বেষা, দর্শন ও স্বতন্ত্র কন্ঠস্বরকে সমন্বিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে পাঠকের কাছে কবিকে যথাযথ তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। মন-মানচিত্র দ্বিমাসিক। প্রতি দুইমাসে একজন সাহিত্য ব্যক্তিত্বকে আমরা বিশ্ব বাংলাভাষীদের সামনে তুলে ধরবো।

আমরা বহুমাত্রিকভাবে মন-মানচিত্রকে সাজানোর চেষ্টা করেছি। প্রথমবারে সেটি শতভাগ অর্জিত হয়নি তা আমরা নিশ্চিত বলতে পারি। ক্রমান্বয়ে মন-মানচিত্র তার কাঙ্খিত অবয়ব লাভ করবে এবং কবিতা ও কথাসাহিত্যের এক গুণগত মানসম্পন্ন প্ল্যাটফরম হিসেবে গড়ে উঠবে।

ভাষার কোন সীমান্ত নেই। আমরা সারাবিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মেধা ও মননশীলতার প্রতিনিধত্ব করি। আমরা মতাবদ্ধতা ও মতান্ধতার বিপরীতে মনুষ্যত্বের বিকাশ চাই।


ওয়েবম্যাগটি যাত্রা শুরুর সাথে সাথেই পাঠকের বিপুল মনযোগ, উৎসাহ ও সমর্থন পেয়েছে উল্লেখ করে ২৫ জুলাই (২০২১) একটি সম্পাদকীয় নোট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে৷ সেখানে সম্পাদক লিখেছেন,
মন-মানচিত্র যাত্রারম্ভ সংখ্যা বেরুনোর সঙ্গেসঙ্গেই এক বিপুল মনোযোগ, উৎসাহ, সমর্থন ও প্রত্যাশায় আমরা আনন্দিত, একইভাবে কিছুটা উদ্বিগ্নও বটে। কেননা প্রত্যাশা এমনই এক ঝুঁকি যা পূরণ করে যাওয়া নিরন্তর দুরূহ কাজ। আমাদের আস্থা ও ভরসা- লেখক পাঠক আর মন-মানচিত্র পরিবারের ত্রিবেণী বোঝাপড়ায়। সবাই যদি নিজ নিজ জায়গায় মন ও মনন নিষ্ঠ থাকেন, তাহলে মতান্তর হবে,আশা করি মনান্তর হবে না। সকল মতান্ধতা ও মতাবদ্ধতা পেরিয়ে সৃজনশীলতায় ভিন্নতা আসুক, এমনকী দূরত্বও পরিত্যাজ্য নয়- দূর হোক কারসাজির নৈকট্য, বুদ্ধির পাইকারি। আমরা কোন না কোন অঞ্চলের ভূমিপুত্র, কিন্তু আঞ্চলিক নই, দেশপ্রেমিক কিন্তু জাতীয়তাবাদী নই, আমরা লোহা ও মুক্তা আহরণকারী সওদাগর- দুনিয়ার যে-প্রান্তে তার দেখা মেলে- সেখানেই ডুবখননে নামতে রাজি আছি।

Post a Comment

0 Comments