প্রকাশিত হয়েছে উৎপলকুমার বসু প্রসঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত বইটি!

অমর একুশে বইমেলায় কবি সাম্য রাইয়ানের সম্পাদনায় লিটলম্যাগ বিন্দুর (www.bindumag.com) উদ্যোগে ঢাকার ঘাসফুল প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে বহুল প্রতিক্ষীত বই ‘উৎপলকুমার বসু’৷

রাজীব দত্তের প্রচ্ছদে বইটি বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে রকমারী, প্রথমা, বাতিঘর সহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে ও ভারতে ‘তবুও প্রয়াস’-এ পাওয়া যাচ্ছে৷ বইটির দাম ৬০০ টাকা৷

সম্পাদক সাম্য রাইয়ান বলেন, উৎপলকুমার বসুর নির্বাচিত কবিতা, গল্প, অনুবাদ, চিঠি ও সাক্ষাৎকার রয়েছে বইটিতে।

এছাড়া রয়েছে অর্ধশতাধিক প্রবন্ধ, যেখানে ব্যক্তি উৎপল ও তার লেখা প্রসঙ্গ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন কবি-লেখকের কলমে।

তিনি বলেন, উৎপলকুমার বসুর বাংলাদেশ ভ্রমণের প্রতিবেদন, তাকে নিয়ে শঙ্খ ঘোষের দেওয়া সাক্ষাৎকার, সুবিমল বসাকের বক্তব্য, জীবনপঞ্জি ও গ্রন্থপঞ্জি রয়েছে বইটিতে।

উৎপলকুমার বসু প্রসঙ্গে এ এমন এক গ্রন্থ, যা কেবল উৎপলকুমার বসুকে জানতেই নয়— বরং কৃত্তিবাস, হাংরি জেনারেশন, ষাটের দশকের সাহিত্য আন্দোলন জানতে-বুঝতে-পর্যালোচনা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে৷ বইয়ে রয়েছে উৎপলকুমার বসুর চারটি সাক্ষাৎকার এবং উৎপলকুমার বসু প্রসঙ্গে শঙ্খ ঘোষের সাক্ষাৎকার, উৎপলের ত্রিশোর্ধ নির্বাচিত কবিতা, কয়েকটি অনূদিত কবিতা, দুইটি গল্প (টোকিও লন্ড্রি ও নরখাদক), অগ্রন্থিত প্রবন্ধ৷ উৎপলকুমার বসু প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতীয় অর্ধশত লেখকের প্রবন্ধ, চারটি স্মৃতিগদ্য, নিবেদিত কবিতা, হাংরি সাহিত্যিক সুবিমল বসাকের বক্তব্য, উৎপলের চিঠি, তাঁর নিজের লেখা মিনিবুকের বিজ্ঞাপন, পূর্ণাঙ্গ জীবনপঞ্জি ও গ্রন্থপঞ্জি এবং আরো অনেককিছু…

ফলে বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা এই কবির অনুরাগীদের বইটি পড়তে ভালো লাগবে। সব মিলিয়ে খোঁজ মিলবে একজন পূর্ণাঙ্গ উৎপলকুমার বসুর।

বইটির ফ্ল্যাপ লিখেছেন কবি শঙ্খ ঘোষ৷ বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে বাংলা সাহিত্যের তিন প্রবাদপ্রতিম কবি শঙ্খ ঘোষ, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ও শম্ভু রক্ষিতকে৷

১৯৩৯ সালের ০৩ আগস্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন উৎপলকুমার বসু। ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত ‘চৈত্রে রচিত কবিতা’ দিয়ে বাংলা কাব্যজগতে আবির্ভূত হন। বাংলা সাহিত্যে ‘স্থিতাবস্থা’ ভাঙার আওয়াজ তুলে ষাটের দশকের শুরুর দিকে যে হাংরি আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, তার সঙ্গে ছিলেন তিনি।

তার বিখ্যাত কবিতার বই ‘পুরী সিরিজ’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। ‌ ২০১৪ সালে ‘পিয়া মন ভাবে’ বইয়ের জন্য তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান। আর ২০০৬ সালে ‘সুখ-দুঃখের সাথী’ বইয়ের জন্য পান আনন্দ পুরস্কার। এছাড়াও ‘বক্সিগঞ্জে পদ্মাপাড়ে’, ‘সলমা জরির কাজ’ প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য কবিতার বই।

২০১৫ সালের ০৩ অক্টোবর ৭৬ বছর বয়সে মারা যান উৎপলকুমার বসু।

News Source: www.banglanews24.com


Post a Comment

0 Comments